News Bangladesh

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা থেকে || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামেই সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান

ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামেই সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওর্য়াডে গিয়ে দেখা যায় ৭০ ঊর্ধ্ব এক ব্যক্তি নেবুলাইজরের মাস্ক নিজেই হাত দিয়ে ধরে বসে আছেন। পাশ দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে। ডিউটিরত নার্সরা কেউ গল্প করছেন আবার কেউ সেলাই করছেন। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ তালাবদ্ধ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কক্ষেও তালা। এদিকে জরুরি বিভাগের দুইজন চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত রয়েছেন।
  
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় ৪ লাখ লোকের বসবাস। তাদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদরে রয়েছে ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল। হাসপাতালটির সুদৃশ্য একটি চারতলা ভবন রয়েছে। খাতা কলমে চিকিৎসকের পদায়ন রয়েছে ২২ জনের। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে ৫জন চিকিৎসক হাসপাতালটিতে কতর্ব্যরত পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ( সার্জারি) আসাদুজ্জামান, অর্থপেডিক বিভাগের ডা. বিশ্বনাথ কুমার মন্ডল, ডা. মধুসুদন সাহা,  সহকারী সার্জন (ইউএইসসি) ডা. হুমায়রা পারভীন ও অপর এক চিকিৎসক। 

আরও পড়ুন: গণমানুষের নেতা ‘লাল মওলানা’

এসময়ে দেখা যায় (বেলা সাড়ে ১১টা) ডা. রিফাত রহমান হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ফাতেমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি রোগী দেখা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৮জন।

হাসপাতালে রোগীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, রোগীর কোন সমস্যা হলে নার্সদের ডেকে পাওযা যায় না। আর ডাক্তার তো আসেন কালেভদ্রে। নার্সদের ডাকলে তারা রুঢ় আচরণ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং হিসেবে কর্মরতরাই জরুরি বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের কিছুটা দেখভাল করেন। হাসপাতালে ২৫ জন নার্স রয়েছেন। আউট সোসিংয়ে কর্মরত রয়েছেন ২৬জন বলে জানা গেছে।

সরকারি একটি হাসপাতালের এমন চিত্র সম্পর্কে জানাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজল কান্তি মল্লিকের খোজ নিলে জানা যায় তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন। তার সেলফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওযা যায়।

এ বিষয়ে খুলনা সিভিল সার্জ ডা. মাহফুজা খাতুনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, একটি মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সহকারি পরিচালক ( প্রশাসন) ডা. এস এম শাহরিয়ার জানান, হাসপাতালের ইউএইসসিওকে জানান। তিনি ব্যবস্থা নিবেন। তিনি নেই বললে বলেন, তাহলে পরিচালক স্যারকে জানান।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মজিবুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিরি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। তবে যদি পদায়ন থাকে কোন চিকিৎসকের আর তিনি যদি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়