News Bangladesh

বিনোদন ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২ অক্টোবর ২০২৫

বাষট্টিতে রকস্টার নগরবাউল

বাষট্টিতে রকস্টার নগরবাউল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড নগর-বাউলের কর্ণধার ও মূল ভোকালিস্ট ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস আজ ৬২ বছর বয়সে পা রাখলেন। কেউ তাকে “গুরু” বলে সম্বোধন করেন, কেউ “নগরবাউল” হিসেবে চেনে। ঝাঁকড়া চুলের এই রকস্টারটি দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত।

জেমস প্রতিবারের মতো জন্মদিনে কোনো বড় আয়োজন রাখেননি। তবে, বিকেলের শেষ ভাগে তার ঘরে কাছের মানুষরা কেক, বেলুন ও উপহারসামগ্রী নিয়ে হাজির হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের ঢেউ, যা ভক্তদের ভালোবাসায় তাকে সিক্ত করেছে।

জেমস ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠা ও সংগীতে প্রবেশের পথটি সম্পূর্ণভাবে চট্টগ্রামে। তার বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং পরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিবারের কিছু দ্বিমতের মধ্যে জেমস সংগীতচর্চা শুরু করেন। একসময় সংগীতের জন্য তিনি ঘর ছেড়ে চলে যান এবং ওঠেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে। এখান থেকেই তার সংগীত ক্যারিয়ার মূলত শুরু হয়।

১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ফিলিংস। ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় তাদের প্রথম অ্যালবাম স্টেশন রোড। ১৯৮৮ সালে একক অ্যালবাম অনন্যা প্রকাশের মাধ্যমে সুপারহিট হন জেমস। পরবর্তী উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হলো: জেল থেকে বলছি (১৯৯০), নগর-বাউল (১৯৯৬), লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮), কালেকশন অব ফিলিংস (১৯৯৯)।

আরও পড়ুন: প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় জেমসের কনসার্ট স্থগিত

‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস নতুন লাইনআপে গড়ে তোলেন ব্যান্ড নগর-বাউল, যা বিশেষভাবে দুষ্টু ছেলের দল ও বিজলি অ্যালবামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

জেমসের একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুঃখিনী দুঃখ করো না (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬), কাল যমুনা (২০০৯)।

২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন, যেখানে তার গান ভিগি ভিগি এক মাসেরও বেশি সময় টপচার্টের শীর্ষে থাকে। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রোসহ অন্যান্য বলিউড চলচ্চিত্রেও কণ্ঠ দেন, গাওয়া গানগুলো হলো রিশতে এবং আলবিদা।

জেমসের সেরা ১০ গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বাংলাদেশ, জেল থেকে আমি বলছি, মা, দুঃখিনী দুঃখ করো না, লেইস ফিতা লেইস, বাবা কত দিন, বিজলি, দুষ্টু ছেলের দল, মিরাবাঈ, পাগলা হাওয়া, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া।

সংগীতজগতে চার দশকের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জেমস আজও তরুণ-তরুণীদের কাছে প্রেরণার উৎস। জন্মদিনে যদিও কোনো বড় আয়োজন নেই, তবু ভক্তদের ভালোবাসা ও সামাজিক মাধ্যমের শুভেচ্ছা তাকে উৎসাহিত করে চলেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়