আমরণ অনশনে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও ‘সুযোগ সন্ধানীদের’ বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তা স্থগিত করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও সময় পেরিয়ে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘোষণা দেন।
তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে শুক্রবার থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষক নেতা আজিজীর ভাষ্য, অনেক রাজনৈতিক নেতারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘিরে আশঙ্কার কথা বলেছেন। ‘সুযোগ সন্ধানীরা’ এই সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষকদের দাবি ‘মেনে নিতে’ সেসব রাজনৈতিক নেতারা সরকারকে ‘চাপ’ দিচ্ছেন বলে ‘আশ্বস্ত করেছেন’।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
এ অবস্থায় তিনি বলেন, “আজকের জন্য যমুনা অভিমুখী কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগামীকাল দুপুর ২টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আমরণ অনশনে যাবো। অনশন করতে করতে আমরা শিক্ষকরা এখানেই মৃত্যুবরণ করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা যাব না, আমাদের লাশ এখান থেকে যাবে।”
একইসঙ্গে ‘অব্যাহত কর্মবিরতির’ মাধ্যমে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার কথা পূনর্ব্যক্ত করেন এই শিক্ষক নেতা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি ছিল তাদের, তবে শিক্ষক নেতারা সচিবালয়ে বৈঠকে করতে যাওয়ায় সেটি বিলম্বিত হয়।
এর আগে বুধবার প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর শাহবাগ মোড় ছেড়ে বিকাল ৫টার পর ফের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে রোববার থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি