পুলিশে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়েই চাঁদাবাজি

যশোরে পুলিশের কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়েই এক যুবক পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন।
ধরা পড়া যুবকের নামে রাকিবুল হাসান শান্ত। তিনি যশোর শহরতলি পালবাড়ি গাজীরঘাট এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের সিটি প্লাজায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্রও উদ্ধার করা হয়।
সিটি প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শান্ত এসএস ফ্যাশন হাউজে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় শান্ত নিজেকে পুলিশের নায়েক দাবি করেন। দোকান মালিক শান্তর পরিচয় নিশ্চিত হতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নামে যশোরে কোনো পুলিশের নায়েক নেই। এরপর সিটি প্লাজার ব্যবসায়ীরা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় শান্ত কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। পরে শান্তর সহযোগী পালবাড়ি এলাকার একটি মাল্টিমিডিয়া দোকানের মালিক মামুনকে আটক করা হয়। ওই দোকান থেকেই সে ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যশোরে সদ্য শেষ হওয়া ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন রাকিবুল হাসান শান্ত। তাদের চাকরিতে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে শান্ত আটক হলো।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর কুমার সরকার জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে শান্তকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ