যানজট ঠেকাতে বিকল্প করিডোর
ফাইল ছবি
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক প্রগতি সরণী বর্তমানে চরম যানজটে বিপর্যস্ত। এমআরটি-১ বা বিমানবন্দর-কমলাপুর মেট্রোরেল লাইনের নির্মাণ কাজ এই সড়কের নিচ দিয়ে চলায় যানজটের মাত্রা আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি, ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তর এবং অব্যবস্থাপনা। এই পরিস্থিতিতে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে তিনটি বিকল্প সড়ক বা করিডোর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রগতি সরণীর উপর চাপ কমাতে পূর্বাচল ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত তিনটি করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্পটির প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
প্রথম করিডোরটি শুরু হবে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের ২ নম্বর ইন্টারসেকশন থেকে। এটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মাদানী এভিনিউ, সানভ্যালি আবাসিক, আফতাবনগর হয়ে রামপুরা ব্রিজে গিয়ে মিলবে। এই করিডোরটি চালু হলে নগরবাসী প্রগতি সরণী এড়িয়ে সহজেই রামপুরা যেতে পারবেন।
অন্য দুটি করিডোরও ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বসুন্ধরার ভিতর দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই করিডোরগুলো চালু হলে প্রগতি সরণীর যানচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
আরও পড়েন: বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে অফিসে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে প্রগতি সরণীর রাস্তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, আমি মেট্রোলাইন কর্তৃপক্ষকে বলেছি, আগে ডাইভারশন রোড করবেন, পরে মেট্রোরেলের কাজ ধরবেন। না হলে এখানে বড় জনদুর্ভোগ হবে।
তিনি আরও জানান, আগামী জুন মাসেই প্রথম বিকল্প সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রকল্পে অর্থায়ন করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে সমন্বয় চলছে।
বর্তমানে প্রগতি সরণীতে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের পাশাপাশি চলছে ইউটিলিটি লাইন সরানো, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও গর্ত তৈরি। ফলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রিকশা, অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে এমনিতেই চাপ বেশি। বৃষ্টির সময় গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা মনে করেন, পরিকল্পিতভাবে করিডোরগুলো নির্মিত হলে শুধু প্রগতি সরণীর যানজটই নয়, বরং গোটা পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে। এতে নাগরিক দুর্ভোগ কমবে এবং রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের যান চলাচল অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








