News Bangladesh

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৯ মে ২০২৫

রৌমারীতে সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

রৌমারীতে সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা ২০০ ফিটের কাঠের সাঁকো। এতে রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়েছে প্রায় ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের। উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই কাঠের সাঁকোটি। 

গত শনিবার (১৭  মে) পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। 

ওই এলাকার হায়দার আলী, জহুরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন বলেন, প্রায় ২০০ ফিট কাঠের সাকোঁর মাঝে ভেঙ্গে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া, বকবান্দা, ব্যাপাড়ীপারা, বকবান্দা নামাপাড়া, খেওয়ারচর, আগলারচর, ঝাউবাড়ী, পাঠাধোয়াপাড়াসহ ১১টি গ্রামবাসীর যাতায়াত ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি। এ কাঠের সাকোঁটি ভাঙায় ১১ গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কাঠের সাঁকোটি দিয়ে কৃষকের কৃষি পূর্ণ বাজারজাত করণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার সমসা হচ্ছে। সেই সাথে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, প্রাথমিকের শিক্ষক বরখাস্ত

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ জিঞ্জিরাম নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারা পার হতো ১১ গ্রামের মানুষ। পড়ে এ গ্রামগুলোর দির্ভোগ কমাতে জিঞ্জিরাম নদীর উপর নির্মাণ করা হয় কাঠের সাকোঁ। 

যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরবেশ আলী বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শনিবার জিঞ্জিরাম নদীর উপড় থাকা কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।

রৌমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা আছে ঝড়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতি হলে সেটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়