যৌতুক বিরোধী আইন যে কারণে

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেলের যৌতুকলোভী ও চরিত্রহীন ডাক্তার ইকবালকে কাজের মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে স্ত্রী সালেহা। সেকারণে ইকবাল ব্লেড দিয়ে গলা কেটে সালেহাকে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে প্রচার করে। কিন্তু সালেহার পরিবার ঘটনাটিকে বলে হত্যা।
তখন অস্থায়ী বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল ইকবালের পরিবারের। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় আত্নহত্যা। কিন্তু পত্রিকার ক্রমাগত রিপোর্ট আর দেশবাসী কড়া সমালোচার মুখে তৃতীয় দফায় সালেহার লাশ কবর থেকে তুলে আবার ময়না তদন্ত করা হয়।
পোল্যান্ড থেকে ফিলিস্তিনে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসে’ ইসরায়েল
এবার ফলাফল আসে- আত্নহত্যা নয় হত্যা করা হয়েছে সালেহাকে। বিচারে ইবালের ফাঁসির আদেশ হয়।
সাংবাদিকরা পত্রিকার প্রথম পাতায় ছোট করে হলেও প্রতিদিন খবর ছাপিয়ে গেছে ফাসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত। এই ফাসির পেছনে বড় অবদান সাংবাদিকদের ছিল বিধায় ফাসির পরে সাংবাদিকরা ইকবালের পরিবারের সাক্ষাতকার নিতে গেলে লাঠি দা নিয়ে ইকবালের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের তাড়া করে।
ফাঁসির রায়ের পর জিয়াউর রহমানের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা। কিন্তু তিনি তাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে তিরস্কার করে বের করে দেন।
এই হত্যাকান্ডের ফলে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে যৌতুক বিরোধী আইন পাশ হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি