ইতিহাসের পাতায় ঢাকা টেস্ট
ঢাকা: ভিন্ন কারণে ইতিহাসের পাতায় ঢাকা টেস্ট। সংক্ষিপ্ততম টেস্ট ম্যাচের তালিকায় একাদশতম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে কেবলমাত্র এক দিনের খেলা মাঠে গড়ায়। অবশিষ্ট চার দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। যখন টেস্টের প্রথম দিনের খেলায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮৮.১ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। অর্থাৎ, মোট বল বিবেচনায় নিলে ৫২৯টি বল হয় সেই ইনিংসে। টেস্ট ম্যাচের পরিসর হিসেবে যা ১১তম সংক্ষিপ্ত ম্যাচ।
বল বিবেচনায় সংক্ষিপ্ততম দুটি টেস্ট ম্যাচেই জড়িয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। মজার বিষয় হলো- ওই দুই ম্যাচই বাজে কন্ডিশনের কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল; আবহাওয়ার কারণে নয়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে গায়ানা টেস্টে মাত্র ১০ বল খেলার পরই ইংল্যান্ড ও স্বাগতিকদের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। ওই ম্যাচে আউটফিল্ডে অতিরিক্ত বালু থাকায় বোলাররা ঠিকঠাক দৌড়াতে পারছিল না। আর ঠিক সেই কারণেই ওই ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছিল ম্যাচ রেফারি।
এর ১১ বছর আগের ঘটনাটিও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই। সেবার জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে ৬১ বল খেলা হওয়ার পর ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টটি পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। কারণ, সেবার স্যাবাইনা পার্কের মরা উইকেটে গতির ঝড় তুলেছিল কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালশরা। তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য অতিরিক্ত বিপদজনক এই বিবেচনায় ম্যাচ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তালিকার তৃতীয় স্থানে ক্যান্ডি টেস্ট। ১৯৯৩ সালে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যকার টেস্টটি মাত্র ৭২ বল আয়ু পেয়েছিল। এরপর বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








