ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন রুখতে সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
ফাইল ছবি
ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে বিভাজন দেশের জন্য শুভ হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলো যদি পরস্পরের মধ্যে অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে তবে ফ্যাসিস্ট চক্র পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে, যা রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, আগামীদিনের রাজনীতি হবে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। প্রচলিত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতির পথে হাঁটতে চায়। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের মনে বিএনপির প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি না হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে গণতন্ত্রকামী মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে অহেতুক নতুন ইস্যু নিয়ে বিতর্ক শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।
আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার নিশ্চিত নয়: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, একাত্তর ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, আর চব্বিশ ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ইতিহাসের নৃশংসতম এক ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। এখন যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তি নিজেদের মধ্যে বিভাজনে জড়িয়ে পড়ে তবে তা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা হবে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। যদি নির্বাচনের পথে বাধা আসে তবে পতিত ফ্যাসিবাদ আবারও ফিরে আসতে পারে, স্বৈরাচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হতে পারে এবং সমগ্র রাষ্ট্র ক্ষতির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান ও লিখিত বিধি-বিধান দিয়ে কখনো ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না। জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের চর্চাই জনগণকে শক্তিশালী করে তোলে। নির্বাচনই হচ্ছে এর প্রধান মাধ্যম।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে দেশের জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় পর নিজেদের এজেন্ডা ও ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিবিরের কিছু বক্তব্য গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে সংশয় তৈরি করেছে।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দূরত্ব তৈরি হলে পরাজিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে যাবে। তাই সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপির রাজনীতি হবে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। সেটা দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে, লক্ষ্য হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








