নির্বাচন যেন কোনোভাবেই ফেব্রুয়ারি ক্রস না করে: শামসুজ্জামান দুদু
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রতীকি যুব সমাবেশে’ বক্তৃতা দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে—কোনভাবেই ফেব্রুয়ারি মাস অতিক্রম করা চলবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত যুব সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশটি আয়োজিত হয়।
দুদু বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন দরকার। সেই নির্বাচনের সময় ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। জনগণ উল্লসিত এবং তারা প্রত্যাশা করে, নির্বাচনের সময় যেন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি গণহত্যা চালিয়েছেন, আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছেন এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। এই কারণেই গণহত্যার বিচার এবং লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ার মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে। নির্বাচিত সরকার এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার: রিজভী
দুদু বলেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ টালবাহানা করে, তাহলে সেটি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হিসেবে ধরা হবে। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমরা জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এদিকে, ১৩ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় দেশকে ‘দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে তারা শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছে, সাধারণ মানুষের কল্যাণে কিছু করেনি। শেখ হাসিনাকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং দেশের সকল এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করতে হবে।
নীরব আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি যে আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে আসছে, তা দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। আমরা আজও পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেও পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো বাকি।
শামসুজ্জামান দুদু ও নীরবের উভয় বক্তব্যই বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং সরকারের ওপর সমালোচনার প্রেক্ষাপটকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তফসিল ঘোষণা না হলে আন্দোলন ও বিক্ষোভ আরও তীব্র রূপ নিতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








