News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের নতুন অধ্যায় জুলাই সনদ’

‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের নতুন অধ্যায় জুলাই সনদ’

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনার প্রতীক হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। 

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষে স্বাক্ষর করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমকে জানান, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ তৈরি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারও না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ। আমরা আশা করছি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে আজ একটা বড় অগ্রগতি হবে। কিছু কিছু দল ডিস্টার্ব করছে, আজকের অনুষ্ঠানে আসছে না। তারা সবসময়ই ডিস্টার্ব করবে। আমরা লক্ষ রাখছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কিছু দল স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠানকে ব্যাহত করছে। এটি নতুন কিছু নয়; তারা সবসময়ই এমন আচরণ করে এবং বিএনপি লক্ষ্য রাখছে।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি ও ৪ বাম দল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। আজকের দিনটি শহীদদের আত্মত্যাগ, জাতির আকাঙ্ক্ষা ও জন-প্রত্যাশা পূরণের সূচনা মাত্র। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে পারব।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এই সনদ গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের প্রতীক।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সতর্ক করে বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে দেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপির মির্জা আব্বাস বলেন, শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারও না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ। আমরা লক্ষ্য রাখছি। কিছু দল স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠানকে ব্যাহত করছে। তারা সবসময়ই এমন আচরণ করে।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন এবং সনদ বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও সময়োপযোগী প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়