News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১০, ৩১ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০১:০১, ২০ জানুয়ারি ২০২০

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গিকারাবদ্ধ: খালেদা

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গিকারাবদ্ধ: খালেদা

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ অঙ্গিকারের কথা ব্যক্ত করেন।

দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অর্থনৈতিকসাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালন করার জন্য এ দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের যে রাজনীতি তিনি সূচনা করেছিলেন, তা বাকশালীয় একদলীয় রাজনীতিউত্তর সমাজ ও রাষ্ট্রে জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে বলে এদেশের জনগণ বারবার এ দলকে রাষ্ট্র ও সরকারপরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে।”

তিনি বলেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিএনপি সর্বদা জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সকল জাতীয়-রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিকুলতা ও রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে বা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে-বিএনপি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে স্বৈরশাসন-গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চ্যালেঞ্জকেদৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে।”

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, “আজ দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। ৫ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকারজাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা. গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ণ ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নির্লজ্জ দলীয়করণের চূড়ান্ত রূপ দিতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কছে ন্যস্ত করার আইন প্রণয়নকরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই এই আইন পাস করা হয়েছে। এটি পাস হওয়ার ফলে নিপীড়িত মানুষের আইনি প্রতিকার পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুও বন্ধ হয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “জনপ্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারণেই স্থবির হয়ে পড়েছে। যাতে জনমতের প্রতিফলন না ঘটে সেইজন্য গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি মূলত এই অবৈধ সরকারকর্তৃক মানুষের বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাকেই অপহরণ করা। জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ত্যাগের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান এবং যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়