গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হরতাল!
ঢাকা: নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে কঠোর প্যাকেজ কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জোট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। জোট নেতারা এর প্রতিবাদের কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পক্ষে যার যার মতামত তুলে ধরেন। কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যাকেজ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর সূত্র জানান, এর আগে একাধিক জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোট নেতারা বলেছিলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাজিরা রয়েছে। তাই সেই দিন হরতাল দেওয়া হতে পারে। এতে ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারা’ হবে। পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচিও থাকবে। তবে বৈঠকে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, কোনো কারণে ২০ দলীয় জোটগতভাবে হরতাল দেওয়া না হলেও জোটের যে কোনো দল এককভাবে বৃহস্পতিবার হরতাল ডাকতে পারে।
বৈঠক শেষে জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বৈঠকে গ্যাস বিদ্যুতের নতুন করে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জোট নেতারা বৈঠকে এর প্রতিবাদে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া যায় তা নিয়ে যার যার অভিমত তুলে ধরেছেন।”
তিনি বলেন, “জোটনেত্রী সকলের অভিমত শুনেছেন। তবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।”
কী ধরনের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হরতাল, বিক্ষোভ থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। তবে কী কর্মসূচি দেওয়া হবে তা শুধু ম্যাডামই বলতে পারবেন।”
জোটের অন্য দুই শীর্ষ নেতা লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে আমরা বক্তব্য তুলে ধরেছি। এর মধ্যে থেকে যেটা সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করবেন ম্যাডাম সে কর্মসূচিই দেবেন।”
তারা আর ও জানান, ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামু্ক্তি দিবসের কর্মসূচি রয়েছে। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীরও কর্মসূচি আছে। তাই ৪ সেপ্টেম্বর গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মসূচি আসতে পারে।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শুরু হয় রোববার রাত পৌনে ৮টায়। শেষ হয় নয়টার দিকে।
বৈঠকে অংশ নেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ফজলে রাব্বী চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রধান শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, খেলাফত মজলিশের মাওলানা ইসহাক, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার সায়েদুল হাসান, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ ও সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








