‘শিবির-বাংলা ভাই সমর্থকদের পুনর্বাসন করছে আ.লীগ’
রাজশাহী: ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ হন এনামুল হক। অভিযোগ রয়েছে, পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি হঠাৎ করেই মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ হন। এরপর তিনি জামায়াত-শিবির ও বাংলা ভাইয়ের অনুসারীদের পুনর্বাসন করতে থাকেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বাগমারা উপজেলা ও পশ্চিম জেলা শিবিরের সভাপতি বাংলা ভাইয়ের সহযোগী মোল্লা এম আলতাফ হোসেনকে দলে নিয়ে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল জামায়াতের বাগমারা উপজেলার সাবেক সেক্রেটারি নূরুল ইসলামকে সংগঠনে যোগদান করান। এমপির নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনে নেন।
এরপরই তিনি উপজেলা শিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমানকে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। জামায়াতের পশ্চিম জেলা আমির আহাদ আলী কবিরাজকে খাঁপুর দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নিয়োগ দেন। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এলাহী বক্স মণ্ডলকে সালেহা এমারত ডিগ্রি কলেজের সভাপতি করেন। এভাবেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের তিনি পুনবার্সন করেন।
বাগমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহার আলী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা নেতা-কর্মীর অত্যাচারে প্রতিকূল অবস্থায় আছি। করণীয় কিছুই দেখছি না। এমপি সাহেব তদের দলে নিলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। প্রতিবাদ করছি, কোনো প্রভাব পড়ে না। এটা কখনোই আওয়ামী লীগের জন্য শুভ নয়।”
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী-০৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ এনামুল হক নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আগে কে কি করতো তা বড় কথা নয়। এখন কে কি করছে সেটাই বড় কথা। এখন তারা আওয়ামী লীগই করছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম








