আশরাফের বক্তব্যে জাতি হতাশ: বিএনপি
ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতিকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেছেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। তার এ বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে। এ বক্তব্যে শংকা জাগতেই পারে, দেশে আবারো ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন পাঁচ শতাংশের সরকার গঠিত হতে পারে।”
রিপন আরো বলেন, “আইনি বাধ্যবাধকতার নির্বাচন বলে পরবর্তীতে সব দলের অংশগ্রহণে আবারও একটি নির্বাচন হবে বলে আওয়ামী লীগ যে প্রতিশ্রুতি দেয় তারা সেখান থেকে সরে এসেছে। এ অবস্থায় বিনা-ভোটের এমপি-ক্যাডারদের বেপরোয়া আচরণে আজ দেশবাসী অতিষ্ঠ।”
তিনি বলেন, “তাদের হাতে শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা পদে পদে লাঞ্ছিত হচ্ছে, যা অতিসম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনেও ঘটেছে। মায়ের পেটে শিশুও আজ নিরাপদ নয়। মায়ের গর্ভ বিদীর্ণকারী শাসকদলীয় অস্ত্রবাজরা মাগুরাসহ সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থার আশু অবসান প্রয়োজন।”
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, “সরকার দেশের বিরোধী দলগুলোকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা না দিয়ে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ সংকট থেকে বাঁচতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “এজন্য আমরা আবারো সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।”
রিপন বলেন, “বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও কতিপয় বিশিষ্ট নাগরিক গণতন্ত্রের প্রশ্নে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার সাথে আমাদের দলও সহমত পোষণ করে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে কোনো উদ্যোগের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, শাসকদলের ক্ষমতা হারানো কিছু ব্যক্তি বিএনপি ও তার নেতৃত্ব নিয়ে কটুক্তি করে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তাদের উদ্দেশ্য, নিজেদেরকে পত্রিকার পাতায় বাঁচিয়ে রাখা। এর মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও তার সহযোগীদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, তাদের দুর্গতির জন্য নিজেদের দুর্নীতি কালো বেড়ালে রূপান্তরিত হওয়াই দায়ী।”
ছিটমহল স্বাধীন হওয়ায় আনন্দিত রিপন আরো বলেন, “শুক্রবার রাত ১২টার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট জাতীয় পার্লামেন্টে র্যাটিফাই হওয়ায় ১৬২টি ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে দু’দেশের পতাকা উড্ডীন হয়েছে সেখানে। ৫২ হাজার মানুষের ৬৮ বছরের কান্নাভেজা মুক্তির আনন্দে আমরাও আনন্দিত।”
তিনি বলেন, “একইসঙ্গে বাংলাদেশের নতুন ৫২ হাজার নাগরিক যাতে সংবিধান অনুযায়ী সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের ভুখণ্ডে মিশে যাওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সকল উদ্যোগ নেওয়ার জন্যও আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








