আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মিন্নির
বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বুধবার বিকেলে আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার স্বামী হত্যায় তিনি জড়িত নন।
মিন্নি এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী।
ওইদিন আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আইনজীবী না থাকায় বিচারক মিন্নিকে বলেন, “আপনার পক্ষে যেহেতু কোনো আইনজীবী নেই, তাই এ বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য আছে?”
তখন মিন্নি আদালতকে বলেন, “আমি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নই। আমি সেদিন আমার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।”
আদালত মিন্নিকে বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের আগে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে আপনার অসংখ্য মেসেজ ও ফোনকল রয়েছে।”
এ বিষয়ে মিন্নি আদালতকে বলেন, “ওরা আমাকে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। যার কারণে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”
পরে পুলিশ মিন্নির সাত দিনের রিমান্ড দাবি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত একজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিন্নি এই হত্যা পরিকল্পনায় ছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হুমায়ুন কবির রিমান্ড আবেদনে আরও জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির ফোনালাপের তথ্যও পাওয়া গেছে। এসব বিষয় নিশ্চিত হতে এবং মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার আবেদন জানান তিনি। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তখন পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এ হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ব্যক্তিগত কারণ ও আক্রোশ থেকে এ রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ








