৩ আসামির স্বীকারোক্তি
১০ হাজার টাকার জন্য কিশোর বিনামকে হত্যা
সিলেট: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার টাকার জন্য হত্যা করা হয় কিশোর বিনাম হোসেনকে। হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার বিনাম হত্যা মামলায় গ্রেফতার শামসুজ্জামান, নুরুজ্জামান ও শাহীন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা জানান, গত ১৬ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জ থানার লাছুখাল গ্রামের বিনাম হোসেন নিখোঁজ হয়। তারা বাবা আলী আহমদ এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার বিনামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-২২।
রোববার কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উপজেলার থানা বাজারের বুড়দেও গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শামসুজ্জামান, একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান ও নুরুল আমিনের ছেলে মো. শাহীন মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। সোমবার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
আদালতে তারা বলেন, পাভেল নামে একজনকে বিনাম হোসেন ১০ হাজার টাকা ধার দেয়। বারবার টাকা ফেরত চাওয়া সত্ত্বেও পাভেল বিনামের টাকা ফেরত দেয়নি। গত ১৬ আগস্ট পাভেল টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিনামকে ডেকে নেয়। পরে পাভেলসহ গ্রেফতার তিনজন মিলে বিনামের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে এবং ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে বিনামের লাশ কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ব্র্যাক অফিসের পাশে বালুর মধ্যে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা হয়। গত ২৮ আগস্ট শিশুরা মাছ ধরার সময় লাশের মাথা দেখতে পায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে বিনামের লাশ উদ্ধার করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম