News Bangladesh

নোয়াখালী সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী ৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

নোয়াখালী ৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নোয়াখালী-০৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত ধানের শীষের প্রার্থী ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন প্রত্যাহারসহ দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার দুপুরে জেলার কবিরহাট বাজারে নোয়াখালী-০৫ আসনের বিএনপির পরিবারবর্গ ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কবিরহাট সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে করিবহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে কবিরহাট বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান হারুন, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নুর উদ্দিন।

আরও পড়ুন: চাটখিলে একদিকে চলছে উচ্ছেদ, অন্যদিকে সরকারি জায়গা দখল

এসময় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বেলায়েত হোসেন,কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল, কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইমতিয়াজ উদ্দিন রিজন, কবিরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহসান উল্যাহ মোহন’সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচনে নোয়াখালী-০৫ আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা শর্তেও এস.আলম গ্রুপের ব্যবসায়িক পার্টনার ফখরুল ইসলামকে মনোনয়ন প্রদান করার পরও দলীয় সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমরা দেখলাম গতকাল ফখরুল ইসলাম একটি সংবাদ সম্মেলনে আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ অনেক নেতাকে ভিন্ন দল থেকে বিএনপিতে এসেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ফখরুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলসহ তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান দলীয় নেতাকর্মীরা ।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নোয়াখালী-০৫ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত ফখরুল ইসলামকে বলতে শোনা গেছে- আমি যদি বলি, সারাদিন বলে শেষ করা যাবে না, হাজার হাজার নেতাকর্মীরা দেখেন, এর বড় অংশ হচ্ছে অন্যদল থেকে আসা। এমন কি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেবও অন্যদল থেকে আসছেন। ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ থেকে এসে বিএনপির মহাসচিব হন, মন্নান ভূঁইয়া ন্যাপ থেকে এসে মহাসচিব হন, এমনকি নোয়াখালীর রাজনীতিতে বরকত উল্যাহ বুলু, জয়নুল আবেদীন ফারুক, শাহজাহান সাহেব এরা একজনও বিএনপির প্রোডাক্ট না। শাহজাহান সাহেব আসছেন ন্যাপ থেকে, বরকত উল্যাহ বুলু ও জয়নুল আবেদীন ফারুক আসছেন জাসদ থেকে। তাহলে এত লোক যদি বিএনপি করতে পারে, সবার চুলকানী শুধু আমাকে নিয়ে কেন? 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়