News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
আপডেট: ১৭:৩১, ৮ জুলাই ২০২০

ভারতে ৩৫৪ টাকায় বিশুদ্ধ অক্সিজেন

ভারতে ৩৫৪ টাকায় বিশুদ্ধ অক্সিজেন

ভারতে শুরু হয়েছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন বিক্রি। ২৯৯ রুপি বা ৩৫৪ টাকায় যে কেউ ১৫ মিনিটের জন্য সেবন করতে পারবেন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ড অক্সিজেনের জন্য খরচ হবে ভারতীয় রুপির মাত্র ৩৩ পয়সা।

নয়াদিল্লিতে বায়ূদুষণের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ। শুধু নয়াদিল্লিই নয়, বায়ুদূষণে আক্রান্ত পাঞ্জাব, দিল্লি ও হরিয়ানাও। অচলাবস্থা বিরাজ করছে নাগরিক জীবনেও। বাতাস ভারী হয়ে উঠছে বিষাক্ত সব উপাদানে। ঠিক এমন সময় অক্সিজেন বিক্রি শুরু হয়েছে দেশটিতে।

অক্সিজেন সেবনের জায়গাটিকে বলা হচ্ছে ‘অক্সিজেন বার’। এ বিশেষ বারে পাওয়া যাবে সাতটি ভিন্ন সুগন্ধির ফ্লেভারে। সুগন্ধিগুলোর মধ্যে দারুচিনি, কমলা, লেবু, গোলমরিচ, ইউক্যালিপটাস ও ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণ অন্যতম। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দিয়ে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি বছরের মে মাসে ভারতের রাজধানীর সাকেট মেট্রো স্টেশনে অক্সি পিউর নামে প্রথম অক্সিজেন বার খোলা হয়। এ ছাড়া সিটি ওয়াক মল এলাকাতেও একটি বার বসানো হয়েছে। ধীরে ধীরে রাজধানীর আরও কয়েকটি স্থানে এবার বসানো হবে বলে জানিয়েছে অক্সি পিউর। আগামী ডিসেম্বরে দিল্লি বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে একটি অক্সি পিউরের বার বসানো হবে।

অক্সি পিউরের কর্মকর্তা বনি ইরেংবাম জানান, একটি টিউবের সাহায্যে এ অক্সিজেন গ্রহণ করতে হয়। তবে একজন ব্যক্তি দিনে একবারই নিতে পারবেন।

বারের পক্ষ থেকে জানানো হয় দিনে ১০ থেকে ১৫ জন এখানে অক্সিজেন নিতে আসছেন।

অঞ্জনা নামে এক গ্রাহক বলেন, 'বাইরে দূষণের মাত্রা খুব বেশি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা এখানে অক্সিজেন নিতে আসছি'। 

চীন ও কানাডায় আরও আগে থেকেই বিশুদ্ধ অক্সিজেন বিক্রি হয়ে আসছে। মানব শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে এবং সংক্রামক ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার ধারণা থেকে অক্সিজেন বিক্রি শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার ঘন ধোঁয়ার আস্তরণে ঢাকা পড়েছিল দিল্লি। পরিস্থিতি বদলায়নি শুক্রবারও। শনিবার সকাল থেকেও দিল্লির আকাশ ঢেকে আছে ঘন ধোঁয়াশায়। দিল্লির বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে শত শত দিল্লিবাসী।

আর সেই দূষণের হাত থেকে বাঁচতেই সকাল-সন্ধ্যা ‘অক্সি বার’-এ ছুটে যাচ্ছে দিল্লির লোকজন। কারণ একটাই, প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়া।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচ/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়