News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জ-৫ কূপে গ্যাস উৎপাদন দ্বিগুণ, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু

হবিগঞ্জ-৫ কূপে গ্যাস উৎপাদন দ্বিগুণ, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)-এর আওতায় বাস্তবায়িত ‘তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৭টি কূপ ওয়ার্কওভার’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কূপটি থেকে দৈনিক ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান। 

এ সময় বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লাসহ পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কূপটি ১৯৮৮ সালে খনন করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে কূপটি থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত পানি ও বালু ওঠায় চাপ হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। বাপেক্সের ‘বিজয়-১১’ রিগ ব্যবহার করে পরিচালিত সাম্প্রতিক ওয়ার্কওভারের ফলে কূপটি এখন ড্রাই গ্যাস সরবরাহে সক্ষম হয়েছে এবং উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ২৬ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। ফলে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপে ওয়ার্কওভার কাজের জন্য মোট ৫২০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। ওয়ার্কওভার কাজ শুরু হয় ২৪ নভেম্বর এবং শেষ হয় ২৭ নভেম্বর।

আরও পড়ুন: এলপিজির দাম বাড়ল ৩৮ টাকা

প্রকল্প সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপের মধ্যে বর্তমানে সাতটি কার্যক্রমে রয়েছে, যেগুলো থেকে প্রতিদিন মোট ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে। 

বিজিএফসিএল জানায়, চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অধীন কৈলাসটিলা-১ কূপের ওয়ার্কওভার কাজও শেষ হবে এবং ওই কূপ থেকে আরও ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হবে। পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যেই সিলেট-১০ এক্স, সিলেট-১১ এবং শ্রীকাইল-৫—এই তিনটি কূপের খনন কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিয়ানীবাজার-২ এবং সেমুতাং-৬ কূপের ওয়ার্কওভারও বাপেক্স সম্পন্ন করবে। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব কাজ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান জানান, দেশের গ্যাসচাহিদা পূরণে ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের ভিত্তিতে নতুন গ্যাসক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও খনন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ২০২৫–২৬ সালের মধ্যে মোট ৫০টি কূপ খনন সম্পন্ন করা হবে এবং এরই মধ্যে ২১টি কূপের কাজ শেষ হয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলোর অংশ হিসেবে আরও ২৯টি কূপে কাজ চলছে। এছাড়া ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। পুরোনো কূপগুলোর ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর এসব উদ্যোগ দেশের শিল্পায়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়