‘লালনকন্যা’ ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

একুশে পদকজয়ী দেশবরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক নানা ধরনের গান করলেও শ্রোতাদের কাছে ফরিদা পারভীনের পরিচিতি ‘লালনকন্যা’ হিসেবে। পাঁচ দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর গান আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধকেও নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছিল।

তিনি আরও বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকেননি ফরিদা পারভীন। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর এই অনুরাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে।

আরও পড়ুন: লোকসঙ্গীতের আকাশে নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন ফরিদা পারভীন

প্রধান উপদেষ্টা লোকসংগীতের এই বরেণ্য শিল্পীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ফরিদা পারভীন শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ১৯৬৮ সালে তিনি পেশাদার সংগীতজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৫৫ বছরের সংগীতজীবনে তিনি নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক গানসহ নানা ধারা পরিবেশন করলেও শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পান ‘লালনকন্যা’ হিসেবে। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে এসেছে এবং বাঙালির সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধকে নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছে।