পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩৫১
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা-ভূমিধসের নিহতদের সংখ্যা ৩৫১ ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ার মারা গেছেন কমপক্ষে ৩২৮ জন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় এখন পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়াও গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে দাফন-জানাজার জন্যও গ্রামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশের গ্রামের মানুষ এসে সহায়তা করেছেন। তারা জানান, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে হতাহতের খবর।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বটগ্রাম।
উদ্ধারকারী সংস্থা জানায়, শুধু বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামেই হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি নেই, আশ্রয় নেই, ভেঙে গেছে সড়কগুলোও। উদ্ধারকর্মীরা রাতের আঁধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, আহত বহু
ইতোমাধ্যেই জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছে প্রাদেশিক সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি রুপি। শুধু বুনের জেলাতেই ১৫ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে দুর্গম এলাকায়।
প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট মৌসুমী বন্যায় দেশটিতে ১০৩৩ জনের প্রাণহানি হয়ে ছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








