‘খামেনির পরিণতি হবে সাদ্দামের মতো ভয়াবহ’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মাঝে ইসরায়েল আবারো ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর রণনীতি অব্যাহত রাখার সংকেত দিয়েছে। ইসরায়েলি নেতৃত্বের তরফ থেকে সরাসরি হুমকিস্বরূপ দেয়া এই বক্তব্যগুলো পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও অস্থির করে তুলেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তেল আবিবে অনুষ্ঠিত একটি সামরিক সভায় সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, যদি খামেনি বর্তমান সময়ের মতোই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক নীতি অব্যাহত রাখেন, তাহলে তার পরিণতি ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো ভয়াবহ হতে পারে।
কাৎজের বক্তব্য অনুযায়ী, ইরানের প্রতিবেশী দেশ ইরাকের এক স্বৈরশাসক ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। খামেনির উচিত এই ইতিহাস থেকে সতর্ক হওয়া।
তিনি আরও বলেন, আমরা তেহরানে শাসকগোষ্ঠী এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান অব্যাহত রাখব এবং তেহরানের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শহর ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
একই দিনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা থামানো হবে না।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ঘি ঢাললেন ট্রাম্প: চীনের অভিযোগ
তিনি সতর্ক করেন, ইরানি শাসকরা যদি ইসরায়েলি বেসামরিক জনগণের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রাখেন, তবে তা যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য এবং এর ফল ভয়াবহ হবে।
গত সপ্তাহে ইরানের বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর এসেছে, যা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার কারণে বলে জানা গেছে।
তবে এই হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
এই সময়ে, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলন থেকে ফিরে আসার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি চান না, বরং একটি “স্থায়ী ও বাস্তব” সমঝোতা চান, যা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগে বাধ্য করবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি কখনোই যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি। আমি চাই, ইরানকে অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থেকে বিরত থাকতে হবে। এটাই এই সংকটের পূর্ণাঙ্গ সমাধি।
নেতানিয়াহু সরকারের কঠোর অবস্থান ও ট্রাম্পের স্থায়ী সমঝোতার আকাঙ্ক্ষা একদিকে যেমন দুই কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক, অন্যদিকে তাতে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও জটিল ও বিস্তৃত হয়ে উঠেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি