News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২১ আগস্ট ২০২৫

ভারতে আ.লীগের অফিস নিয়ে দেওয়া ঢাকার বিবৃতি ‘ভুল’: দিল্লি

ভারতে আ.লীগের অফিস নিয়ে দেওয়া ঢাকার বিবৃতি ‘ভুল’: দিল্লি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থানরত ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের কথিত রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। 

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের মাটিতে অবস্থানরত পলাতক নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নামধারী একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল ভারতের মাটিতে কার্যালয় স্থাপন করেছে। দলটির অনেক শীর্ষ নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক অবস্থায় ভারত সরকারের ভূখণ্ডে রয়েছে। ২১ জুলাই দিল্লি প্রেস ক্লাবে ওই দলের কিছু সিনিয়র নেতা একটি এনজিওর আড়ালে গণসংযোগ কর্মসূচি পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে তারা প্রচারপত্র ও বুকলেট বিতরণ করেছিল।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমও এই কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে—

  • নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
  • ভারতের মাটি ব্যবহার করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যেন বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • এই ধরনের কার্যক্রমকে কোনোভাবেই অনুমোদন বা সহায়তা না দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: লোকসভায় নতুন বিল: টানা ৩০ দিন জেলে থাকলেই মন্ত্রিত্ব শেষ

এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভারত তার ভূখণ্ডে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেয় না। 

তিনি বলেন, ভারতে আওয়ামী লীগের সদস্যদের দ্বারা বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা ভারতীয় আইনের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকার অবগত নয়। তাই বাংলাদেশের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি ভুল ও ভিত্তিহীন।

রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, ভারত আশা করে যে, বাংলাদেশে জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেটের প্রতিফলন ঘটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ এসেছে এমন সময়, যখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও কার্যালয়গুলো বিভিন্ন ফৌজদারি ও মানবতাবিরোধী মামলার কারণে দেশে না থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। সরকার মনে করছে, বিদেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা কমাতে পারে।

গত ২১ জুলাই দিল্লিতে এক এনজিওর আড়ালে অনুষ্ঠিত সভা এবং প্রচারপত্র বিতরণ বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের এই দাবি ভারত সরকার ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করলেও, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড রোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়