ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক

মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) থেকে পদত্যাগ করছেন। 

বুধবার (২৮ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে মাস্ক বলেন, বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। অপচয় কমানোর সুযোগ দেয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই।

ডিওজিই’র প্রধান হিসেবে মাস্কের কাজ ছিল মার্কিন সরকারের ব্যয় সংকোচন এবং প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেওয়ার পর তার প্রধান লক্ষ্য ছিল ফেডারেল বাজেট থেকে অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ কমানো। 

তবে ডিওজিই’র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মাত্র চার মাসে তারা ১৭৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পেরেছে।

মাস্কের পদত্যাগের পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক একটি বড় বাজেট বিল নিয়ে তার অসন্তোষ প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

মাস্ক মনে করেন, এই বিল বাজেট ঘাটতি বাড়িয়ে ডিওজিই-এর কাজের প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলবে। 

আরও পড়ুন: মহাকাশে স্টারশিপের নবম বিপর্যয়

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাজেট বিলটি ডিওজিই টিমের কাজকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং সরকারের ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যহীন করে তুলেছে।’

মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য ‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ হিসেবে কাজ করার সময় সরকারের খরচ কমানোর জন্য কাজ করলেও মাঝপথে নানা বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে পড়েন। তার সমর্থকরা তাকে সফল বলে মনে করলেও বিরোধীরা তার কাজকে অপ্রতুল ও বিতর্কিত হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।

এক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা মাস্কের পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও আগেই জানিয়েছিলেন, মাস্ক শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন।

এখন মাস্ক তার মূল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স, টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এর দিকে মনোযোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

মাস্ক পদত্যাগের সময় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিওজিই মিশন ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে এবং এটি সরকারের কাজের অংশ হয়ে উঠবে।’

এদিকে, ডিওজিই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য স্থাপিত হয়েছিলো, তবে মাস্কের পদত্যাগ ও সীমিত সাফল্যের কারণে এর কার্যক্রম পুনর্গঠন বা স্থগিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।