News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১৬ মে ২০১৫
আপডেট: ১১:৩৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

কারিগরি শিক্ষার্থী ২০ শতাংশ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

কারিগরি শিক্ষার্থী ২০ শতাংশ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির দিকনির্দেশক। সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে এখাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইনস্টিটিবউট অব সায়েন্স, ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটিটি) আয়োজিত মেধাবী অসচ্ছল শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ এবং লেখাপড়া শেষে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে জব ট্রেনিং ও জব  প্লেসমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, “বিএ বা এমএ পাস করে বেকারত্বের ঘানি টানার চেয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মমুখী সচ্ছল জীবন কাটানো উত্তম। কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, চীনসহ ইউরোপীয় দেশসমূহে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০শতাংশেরে উপরে। পরিকল্পিত মানবসম্পদ দ্রুত দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সময়ে দেশে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১শতাংশ। বর্তমানে তা ৮শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ও বেসরকারি ৫০০ কারিগরি প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এগুলোর কোর্স-কারিকুলাম যুগোপযোগী করা হয়েছে। দেশে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমএ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। কারিগরি খাতে কোনো প্রকল্প ছিল না। এখন ৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার সম্ভব সবধরনের সহযোগিতা করছে।”

মন্ত্রী আইএসটিটির মেধাবী অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেন। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রজীবন শেষ হবার সাথে সাথে সরাসরি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৫০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে জব ট্রেনিং ও জব  প্লেসমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের উপাচার্য মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান মিঞা, আইএসটিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ, মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গবেষক ড. গাজী মাহবুবুল আলম, আইএসটিটির অধ্যক্ষ প্রফেসর গাজী এম এ সালাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়