সহিংসতা ও নিরাপত্তা সতর্কতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি এবং দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস স্থগিত রেখে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

• ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (EWU): ১১ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘অনিবার্য কারণে’ ১২ ও ১৩ নভেম্বর সব ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে পূর্বনির্ধারিত কোনো পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। শিক্ষকদের সুবিধামতো সময়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। আজ অফিস খোলা থাকলেও ১৩ নভেম্বর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাসা থেকে কাজ করবেন।
• ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (WUB): ১২ নভেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে চলবে। গতকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
• নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (NSU): ১৩ নভেম্বরের সব ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
• ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ULAB): বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ জানায়নি, তবে রাজনৈতিক কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে পেট্রোলবোমা বিস্ফোরণ

গত তিন দিনে ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাত ও আজ ভোরে গাজীপুরের কাশিমপুর, শ্রীপুর এবং আশুলিয়ায় পার্ক করে রাখা অন্তত চারটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।

১১ নভেম্বর ময়মনসিংহে একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও দুজন গুরুতর আহত হন।

ঢাকা ও এর বাইরের কয়েকটি স্থানে ককটেল ও পেট্রল বোমা বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার আজ ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করেছে।

আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই রায়কে ঘিরেও আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।