News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ১৪:৪৭, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে শিক্ষকরা, যানচলাচল বন্ধ

ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে শিক্ষকরা, যানচলাচল বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে চতুর্থ দিনের মত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফলে শাহবাগের আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

শহীদ মিনার থেকে রওনা হওয়ার পর শাহবাগ মোড়ের আগে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষকরা শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩ মিনিটের দিকে তারা শাহবাগে এসে অবস্থা নেন। এখন তারা সেখানে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

জোটের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও এনটিআরসিএ সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম-বিটিএফের সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ্ রাজু বেলা সোয়া ১২টায়  বলেন, "আমরা আর একটু সময় দিচ্ছি। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছিলেন। তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে আমাদের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা কথা বলেছি। 

তিনি বলেন, "সবার সঙ্গে আলোচনা করে 'শাহবাগ ব্লকেড' কর্মসূচির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

বুধবার সমমনা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করেছেন বলেও জানিয়েছেন এ শিক্ষক নেতা।

রাজু বলেছেন, সরকার দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে রোববার থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

৩৫ বছর পর চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু

মঙ্গলবার বিকালে তারা পদযাত্রা নিয়ে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে পদযাত্রা হাইকোর্টের মাজার গেইটের সামনে পুলিশ আটকে দেয়।

রাত আটটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের পর সরে গিয়ে বাকি রাত শহীদ মিনারে অবস্থান করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে সরকার দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে এরপর 'শাহবাগ ব্লকেড' কর্মসূচির মাধ্যমে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

এর আগে রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সেদিন দুপুর দেড়টায় তারা পুলিশের অনুরোধে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান ধরে রাখেন।

এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক থেকে শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যেতে বলে। কিন্তু শিক্ষকদের একটা অংশ তা মানতে রাজি হয়নি। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া বলতে থাকে। এক পর্যায় পুলিশ পর পর বেশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়।

শিক্ষকদের ওপর 'পুলিশি হামলার' প্রতিবাদে সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে সরকার; তবে গত ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।

এরপর গত ৬ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন, যা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়