News Bangladesh

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১১:৩২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সখীপুরে কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

সখীপুরে কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ওই কাঁচা সড়কটি ও ভাঙ্গাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাকাকরণের। কিন্তু, সে দাবি এখনও পূরণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে ভ্যান গাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। মালামাল পরিবহন করেত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। 

গজারিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন বলেন, এই সাঁকোটা প্রথম অবস্থায় বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে আমাদের এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকোতে রুপ দেওয়া হয়। বর্ষার সময় এই সাঁকো পুরোটা ডুবে যায়। তখন এক কিলোমিটারের সড়ক পাড়ি দিতে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। এই সাঁকোটা যদি পাকাকরণ করা হয়, তাহলে আশেপাশের সকল গ্রামের মানুষ সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে।

ওই গ্রামের অজুফা খাতুন বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়।  সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সরকার যদি আমাদের সেতুটি তাড়াতাড়ি করে দিতো, তাহলে খুব উপকার হতো। 

কে.জি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া বলেন, বর্ষাকালে এই সাঁকোটা পানির নিচে প্রায় ডুবে যায়। তখন ঝুঁকি নিয়েই আমাদের পারাপার হতে হয়। এজন্য অনেক সময় আমাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়না। এতে আমরা পড়াশুনায় পিছিয়ে যাই। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন সেতুটি সুন্দর করে দেওয়া হয়, যাতে আমরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারি।

গজারিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, সেতু না থাকায় আমাদের হাঁটে বাজারে যেতে কষ্ট হয়। এমনকি কোন রোগী হাসপাতালে নেওয়া আরও কষ্ট হয়ে যায়। এই এলাকার কৃষিপণ্য ধান, সবজি, কলা এগুলো বিক্রি করার জন্য ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়। 

এই রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করে থাকে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। 

আরও পড়ুন: থমথমে খাগড়াছড়ি, ১৪৪ ধারার মধ্যেই চলছে অবরোধ

বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এই সাঁকোটা বিভিন্ন সময় বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকোটার যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলে মেয়েরা নিরাপদে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারতো।

সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের উপর যে কাঠের সাঁকোটি রয়েছে, বর্তমানে এলজিইডির কোন প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত নেই। এটা ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারিগরি রিপোর্ট প্রদান করবো। আশা করি অনুমোদন সাপেক্ষে এটা পরবর্তীতে উন্নয়ন কাজ সাধিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল রনী বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে কাজটি ইনশাআল্লাহ্ দ্রুত করে ফেলবো।
 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়