টঙ্গীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসাধীন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মোট দুজন ফায়ার ফাইটার প্রাণ হারালেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৩৮ বছর বয়সী ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিমও নুরুল হুদার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সখীপুরে দোকান পুড়ে ছাই
স্থানীয়দের মতে, টিনশেডের গুদামটি একটি পোশাক কারখানার ছিল। বিকেলে হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ ঘটলে ভেতরে থাকা লোকজন দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় ভেতরে থাকা রাসায়নিকের একটি ড্রাম বিস্ফোরণ হয়, এতে চারজন ফায়ার ফাইটার দগ্ধ হন।
আহতদের মধ্যে দুজন—নুরুল হুদা এবং শামীম আহমেদ (৪০)—শতকরা ১০০ ভাগ দগ্ধ হয়েছিলেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শামীম আহমেদ মারা যান। এরপর আজ মারা গেলেন নুরুল হুদা।
নুরুল হুদার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল মনসুর এবং মায়ের নাম শিরিনা খাতুন। ১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই জন্মগ্রহণ করা নুরুল হুদা ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। তিনি ৫০১৫৬০ পিএন-এর ফায়ার ফাইটার হিসেবে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বিবাহিত ছিলেন।
এই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আরও দুজন ফায়ার ফাইটার—জয় হাসান এবং ফায়ার অফিসার জান্নাতুল নাঈম—জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে জান্নাতুল নাঈমের শরীরের ৪২ শতাংশ এবং জয়ের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত চারজনের মধ্যে দুজনই ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি