জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ৩২ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলাকালীন বিভিন্ন মাদক, দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাজী রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “জেনেভা ক্যাম্পে আমাদের বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। আজকের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ককটেল, পেট্রোল বোমা, ধারালো অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ক্যাম্পের ৭ নম্বর ব্লক, যেখানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ‘বুনিয়া সোহেল’ এবং তার সহযোগী চুয়া সেলিমের অবস্থান রয়েছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে বুনিয়া সোহেলের মাদকের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, আটটি ককটেল, পেট্রোল বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে ২ ছিনতাইকারী নিহত
ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এ সংবাদের ভিত্তিতে আজকের অভিযান চালানো হয়েছে। ককটেল, মাদক ও দেশীয় ধারাল অস্ত্রসহ অনেককে আটক করা হয়েছে।”
মোহাম্মদপুর এলাকা ঢাকা শহরের অপরাধপ্রবণ হটস্পট হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রায়ই ছিনতাই, ডাকাতি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ২৬ আগস্ট দুপুরে সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করে। সেদিন ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের উপস্থিতির খবরে গোয়েন্দারা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে সোহেল ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তাদের একজন সোর্স গুরুতর আহত হন।
সূত্র জানায়, বুনিয়া সোহেলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলা ও অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাম্পজুড়ে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। যৌথ সাঁড়াশি অভিযান অবৈধ কার্যক্রম দমন ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি