News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১১:১১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোহাম্মদপুর-আদাবরে তিন ভাইয়ের ‘নিয়ন্ত্রণে’ একত্রিত পাঁচ গ্যাং

মোহাম্মদপুর-আদাবরে তিন ভাইয়ের ‘নিয়ন্ত্রণে’ একত্রিত পাঁচ গ্যাং

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় কিশোর গ্যাংগুলোর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রায় এক বছর আগে পাঁচটি আলাদা গ্যাং একত্রিত হয়ে ‘কবজি কাটা গ্রুপ’ নামে একটি শক্তিশালী অপরাধী জোট গঠন করে। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে আনোয়ার, যাকে ‘কবজি কাটা আনোয়ার’ বা ‘শুটার আনোয়ার’ নামে পরিচিত। বর্তমানে আনোয়ার কারাবন্দি থাকলেও, তার অনুপস্থিতিতে রনি, জনি ও ওসমান গ্যাংটির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে আদাবরের সুনিবির হাউজিং এলাকায় গ্যাংটির সদস্যরা এক যুগলকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেন। পুলিশের অভিযানে তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কনস্টেবল আল-আমিনকে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় ১০২ জনকে আটক করা হয় এবং বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্যাংটির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, মাদক কারবার, খুনসহ নানা অপরাধ। তারা তাদের কর্মকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তৃত, বিশেষ করে আদাবর-১০ বালুর মাঠ এলাকায়। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে চাঁন গ্রুপের মানিক ও রাজিব গ্রেফতার

গ্যাংটির মূল নেতা আনোয়ার ২০০৫ সালে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় আসেন। শুরুতে পানি সরবরাহের কাজ করলেও, ধীরে ধীরে তিনি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ২০২৪ সালে তিনি ‘কবজি কাটা গ্রুপ’ গঠন করেন এবং তার নেতৃত্বে গ্যাংটি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা দাবি করছেন, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গ্যাংটির সদস্যদের গ্রেপ্তার ও তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তবে, জামিনের মাধ্যমে তাদের পুনরায় অপরাধে জড়ানোর ঘটনা উদ্বেগজনক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সমন্বিত ও কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য ও আপডেটের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশ বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা যেতে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়