News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০২০
আপডেট: ০৬:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আগামীতে আইসিসির সব আয়োজনে বিড করবে বাংলাদেশ: পাপন

আগামীতে আইসিসির সব আয়োজনে বিড করবে বাংলাদেশ: পাপন

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ন্ত্রক সংস্থার (আইসিসি) ইভেন্ট আয়োজন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে ইভেন্টগুলো হবে সেগুলো বিডিংয়ের (আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া) মাধ্যমে হবে। এতে শুধু আয়োজক দেশ নয়, আইসিসির সব সদস্য দেশ লাভবান হবে। আর এই বিডিংয়ে অংশ নেবে বাংলাদেশও।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান শেষে এমন মন্তব্য করেনস তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মানু সোহনির সাক্ষাতের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি।

এসময় পাপন বলেন, ইভেন্ট আয়োজনে নতুন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে আইসিসি। আইসিসির ইভেন্টগুলো আগে যেভাবে অ্যাওয়ার্ড (বণ্টন) করা হতো, এর সাথে এবারের প্রস্তাবে একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এবার তারা নতুন একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে যে, ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে ইভেন্টগুলো হবে- ছেলেদের আটটি, মেয়েদের আটটি এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এর আটটি। এই ২৪টি ইভেন্ট অ্যাওয়ার্ড করা হবে নতুন পদ্ধতিতে।

তিনি আরও বলেন, ইভেন্ট আয়োজনে আগে যেটা হতো- অনেক সময় ঘুরে ঘুরে হতো, মহাদেশ অনুযায়ী হতো, সদস্য বিবেচনায় হতো, বোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তা হতো। কিন্তু এবার আইসিসি যে পদ্ধতিটা করেছে, তা হচ্ছে বিডিং। এটা হচ্ছে ফিফার আয়োজনে এবং অলিম্পিকে যেটা করা হয়, সাধারণত দেশ বিড করে। আইসিসিও এ পদ্ধতিতে যাচ্ছে। এটা শুধু ক্রিকেটখেলুড়ে দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটা ওপেন।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কী সম্পর্ক জানতে চাইলে বিসিবি প্রধান বলেন,প্রথমে যে জায়গাটা, সিকিউরিটির বিষয়টা তো একটা গুরুতপূর্ণ। ইভেন্ট আয়োজনে কয়েকটা জায়গা আছে, যেখানে মানুষ একটু ইতঃস্তত করে, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ইস্যুতে সবচেয়ে ভালো অবশ্য বাংলাদেশ, সেদিক দিয়ে অনেক বেটার (ভালো) আছি আমরা। ইন্ডিয়া হলে তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে। কারণ রেটিং যখন করবে, তখন নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে। সুতরাং সেদিক দিয়ে যদি চিন্তা করতে হয়- সেজন্য তারা (আইসিসির উচ্চপর্যায়) এসেছে। আরও অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আজ তারা সাক্ষাৎ করবে।

২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ইভেন্টগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ আছে কি-না জানতে চাইলে পাপন বলেন, বিশ্বকাপসহ, সকল আইসিসি ইভেন্ট, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি- সবকিছু এতে আছে। এতে আমাদের একটা সুবিধা যে, অন্য নতুন কোনো দেশ যদি বিড করতে যায়, তারাও পারবে। কিন্তু তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে প্রচুর টাকা লাগবে। নতুন কোনো দেশ ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজন করতে চাইলে তাদের মিনিমাম আটটা মাঠ প্রয়োজন হবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে আমরা যারা টেস্ট প্লেয়িং কান্ট্রি, তাদের অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন কোনো ইনভেস্ট লাগছে না। সুতরাং সেজন্য আমরা একটু প্লাস পয়েন্টে থাকবো।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইসিসি সব দেশেই যাচ্ছে। তারা মালয়েশিয়ায়ও মিটিং করে এসেছে। তারা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ যারা ইন্টারেস্টেড, সব জায়গাতেই যাচ্ছে। সব জায়গায় যাওয়ার পর এ প্রসেসটা যখন শুরু হবে, তখন কারও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, এ প্রসেসটার নিয়ম-কানুন কী, সেটা জানাতেই এসেছে তারা। এটা ডেফিনেটলি ইনকাম বৃদ্ধি। তবে শুধু ওদের নয়, সদস্য সব দেশেরও হবে।

পাপন বলেন, এ বিষয়ে আমি যেটা বুঝতে পারছি সেটা হচ্ছে ইংল্যান্ডে যে গত ওয়ার্ল্ডকাপটা হয়েছে, সেখানে আনুমানিক তারা ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো আয় করেছে। বিশ্বকাপের সময় তিন লাখ ট্যুরিস্ট ওখানে ছিল। এটাতে কিন্তু অন্য দেশের লাভ হয়নি। কিন্তু এখন আইসিসি যে পদ্ধতিটা করতে চাচ্ছে, তাতে যে টাকাটা আইসিসি বিডিং করে পাবে, সে টাকা আইসিসির সব সদস্য দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে। তাহলে যেখানে হচ্ছে না তারাও কিন্তু লাভবান হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়