প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা

ছবি: সংগৃহীত
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী তিথিতে বৃহস্পতিবার দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বিদায়ের সুর এবং ভক্তদের চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনের মহাআয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকাল থেকেই ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়। ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ পর্বের সূচনা করা হয়। এছাড়াও পল্টন বধির স্কুলে আয়োজিত পূজামণ্ডপের প্রতিমা বুড়িগঙ্গার ওয়াইজ ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়। ঘাট এলাকা এবং বুড়িগঙ্গার তীরজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বিকাল থেকেই হাজারো ভক্ত ও দর্শনার্থী সদরঘাট এলাকায় ভিড় করেছেন।
ভক্ত রবি দাস বলেন, “গত চার দিন আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করেছি। আজ দেবী মাকে বিসর্জন দিতে এসেছি। খুব খারাপ লাগছে, তবে ভাবছি আসছে বছর মা আবার আসবেন।” তিনি নিরাপত্তার বিষয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও কিছুটা নিরাপত্তার শঙ্কা ছিল, তবে এবার কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সরকারী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুব ভালো।”
আরেক ভক্ত হৈমন্তী রানী সিংহ বলেন, “মা আমাদের মাঝে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। এখন ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিবার মনে হয় মা আরও কিছুদিন থাকলে ভালো হতো। এই সময়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়েছি, এখন আবার যান্ত্রিক জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে।”
আরও পড়ুন: ‘দুর্গাপূজা বাধাগ্রস্ত করতেই খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার চেষ্টা’
প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর জানান, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা সহ বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বীণা স্মৃতি ঘাটে আসবে এবং এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বুড়িগঙ্গার তীরে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম এবং সোয়াট দলের সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে উপস্থিত ছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি