News Bangladesh

রাজনীতি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ১৮:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে, এটি খতিয়ে দেখা জরুরি: রিজভী

অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে, এটি খতিয়ে দেখা জরুরি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

দেশজুড়ে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনাগুলোকে কেবল দুর্ঘটনা হিসেবে উড়িয়ে দেয়ার পক্ষে নন- তারা তা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, এত বড় অগ্নিকাণ্ড একের পর এক কীভাবে সম্ভব—এটি সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা নাও হতে পারে। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তারা আটকে রেখেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে—এটি কি কেবল প্রশাসনিক জটিলতা, না কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো ব্যবস্থা ছিল, তাও তদন্তে উঠে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, “আজও খবর পাওয়া যাচ্ছে চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। একের পর এক এই আগুনের ঘটনাগুলো নিছক কাকতালীয় নয়; বরং এগুলো জাতিকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। এটি কি নাশকতারই অংশ নয়?”—এমন প্রশ্ন তুলে রিজভী খতিয়ে দেখার দাবি জানান।

রিজভী সংবাদ সম্মেলনে ভারত সম্পর্কেও তীব্র অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, তাঁর মনে হয় ভারত চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকুক এবং অতীতেও ভারতের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের উদাহরণ আছে—যেমন ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক চাপ সংক্রান্ত অভিযোগগুলি তিনি উল্লেখ করেন—যা, তাঁর দাবি, দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।

সরকারের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনকে কেন্দ্র করে রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে এবং ধারাবাহিক আগুন লাগার ঘটনা যদি পরিকল্পিত হয় তবে তা নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই প্রভাবিত করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী একটি রাজনৈতিক আহ্বানও জানান—জুলাই সনদকে দেশের ‘ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেন। 

আরও পড়ুন: ‘পিআর’ নিয়ে জামায়াতের আন্দোলন রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ

তার ভাষ্য, “ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি মবক্রেসি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে গণতন্ত্র টিকবে না।”

রিজভীর এই মন্তব্য ও অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে এবং নিরাপত্তা তৎপরতায় প্রশ্ন উঠতে পারে। এই বিষয়ে সরকারের বা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে সেটিও সংযোজন করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়