News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ২৪ জুন ২০২৫

নগর ভবনে চলমান আন্দোলনে হামলা, আহত ৭

নগর ভবনে চলমান আন্দোলনে হামলা, আহত ৭

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবনে চলমান আন্দোলনে হঠাৎ করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার জন্য বহিরাগতদের দায়ী করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আন্দোলনকারীরা প্রতিদিনের মতোই নগর ভবনের গেটে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে বেশ কিছু যুবক চাকু, লাঠি, রডসহ হামলা চালায়। এই হামলায় সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হন। হামলাকারীরা ছুরি দেখিয়ে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণে বাধা দেয় এবং হত্যার হুমকি দেয়।

আহতদের মধ্যে মনির হোসেন (৪৫), মহিদুল ইসলাম (৩৫), মো. জুয়েল, গোলাম জিলানী দিদার, জসিম উদ্দিন, মো. কাইয়ুম হাওলাদারসহ কয়েকজনের নাম জানা গেছে। 

এদের মধ্যে মনির, মহিদুল ও দিদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. ফারুক।

এদিকে আন্দোলনকারীদের একাংশ এই হামলার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী রুবেলকে দায়ী করেছেন। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন: মির্জা ফখরুল

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, রুবেল স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীবের ঘনিষ্ঠ এবং দুর্নীতির অভিযোগে দুদকে অভিযুক্ত। তার নেতৃত্বেই বহিরাগতদের এনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

ঘটনার আরেকটি দিক তুলে ধরেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আরেক অংশের নেতা আরিফুজ্জামান প্রিন্স। 

তিনি দাবি করেন, নগর ভবনে প্রতিদিন বহিরাগতরা মহড়া দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। আজ সকালে যখন তারা অফিস করতে আসেন, তখন ইশরাকপন্থীদের পক্ষ থেকে তাদের উদ্দেশে স্লোগান দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়। তবে প্রকৌশল ও প্রশাসনিক দপ্তরের কক্ষে তালা লাগিয়ে রাখা হয়, যাতে কর্মকর্তারা অফিস করতে না পারেন। এর ফলে কর্মচারী ও কর্মকর্তা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

সংঘর্ষের পরপরই নগর ভবন থেকে সরে যান আন্দোলনকারীদের একাংশ। তবে নগর ভবনে সেবাপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জন্ম-মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ ও হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন কাজে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রত্যাশিত সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, আজ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্দোলনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু নগর ভবনে সংঘর্ষের ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করে আগামীকাল বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের ফলে নগর ভবনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। তবে ঈদুল আজহার আগে নাগরিক ভোগান্তি লাঘবে জরুরি সেবা চালুর ঘোষণা দেন ইশরাক।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়