News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৩১ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২১:০১, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

লেখাপড়ার জন্য ‘বিএনপির’ কোনো দায় নেই

লেখাপড়ার জন্য ‘বিএনপির’ কোনো দায় নেই

ঢাকা: বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, “পরীক্ষা বা লেখাপড়ার জন্য তাদের কোনো দায় নেই, কোনো ছাড় তারা দেন না।”

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘শিক্ষার্থীরা কোনো দলের সন্তান নয়’ উল্লেখ করে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা দিতে দেয়ার আহ্বান জানা মন্ত্রী।

বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সঙ্কটের মধ্যদিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। জাতির দুর্ভাগ্য যে, একটি রাজনৈতিক জোটের বিবেকবর্জিত অব্যাহত হরতাল-অবরোধের কারণে এসএসসির রুটিন অনুযায়ী প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর একটি পরীক্ষাও নেয়া সম্ভব হয়নি। সব পরীক্ষা নিতে হয়েছে শুক্র ও শনিবারে। তারা খেলার বিজয় আনন্দে হরতাল বন্ধ করলেও পরীক্ষা বা লেখাপড়ার জন্য তাদের কোনো দায় নেই, কোনো ছাড় তারা দেন না।”

নাহিদ বলেন, “আমি হরতাল-অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাকারী জোটের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- এসব পরীক্ষার্থীরা বিশেষ কোনো দলের সন্তান নয়, ওরা জাতির ভবিষ্যত। এদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা দিতে দিন। দয়া করে কোনো হটকারী ঘটনা ঘটাবেন না। আমি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই-দেশের যেকোনো স্থানে আমাদের একজন পরীক্ষার্থীরও যদি কোনো ক্ষতি হয়, তার দায়দায়িত্ব আপনাদেরকেই বহন করতে হবে।”

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য এ পরীক্ষাটির গুরুত্ব অপরিসীম। মাত্র ৫/৬ বছর পরই তোমরা সবাই শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। চাকরি, ব্যবসা, ক্রীড়া, আইন, রাজনীতি, বিজ্ঞান, গবেষণাসহ নানা পেশায় মূল্যবান অবদান রাখবে। তবে এ পরীক্ষাটির ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে তোমাদের ভবিষ্যত জীবনের গতি-প্রকৃতি ও সমৃদ্ধি, তোমাদের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ।”

শিক্ষাথীদের প্রতি তিনি আরো বলেন, “তোমাদের ৩০ কর্মদিবসের পরীক্ষা শুধু শুক্র-শনিবারে নিতে গেলে চার-পাঁচ মাস লেগে যাবে। সেটি সম্ভব নয়। পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের দাবি, মতামত ও পরামর্শের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে রুটিনমাফিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এর কোনো ব্যাত্যয় হবে না। শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছি। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এ পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হবে।”

মন্ত্রী বলেন, “যাতায়াত ও পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সর্বাত্মক নজরদারি থাকবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, সাধারণ জনগণ তোমাদের পাশে আছে। তোমরা নিশ্চিন্ত মনে পরীক্ষা দেবে।”

উল্লেখ্য, বুধবার দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পৌনে ১১ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়