গুমনামির প্রথম ঝলকে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য
নেতাজি সুভাষ বসুকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। তার অন্তর্ধান রহস্যকে ঘনীভূত করা ছবি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি’। সেই রহস্যই ছবির প্রথম ঝলকে বজায় রাখলেন পরিচালক। আগেই জানানো হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রকাশ্যে আসবে ছবির টিজার। কিন্তু তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেতাজি লুক।
‘গুমনামি’র লুকের জন্য বেশ ঝুঁকি নিতে হয়েছে প্রসেনজিতকে। ওজন বাড়ানো থেকে প্রস্থেটিক মেকআপ, প্রায় ঘণ্টা তিনেকের পরিশ্রমের পর এই চেহারা তৈরি হয়েছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু। ছবির ঘোষণার সময়েই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে প্রসেনজিৎ জানিয়েছিলেন, এই ছবিতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। যেন স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।” টিজার দেখে অন্তত স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত মিলছে।
প্রসঙ্গত, সৃজিতের ‘গুমনামি’ অঞ্জু ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের লেখা বই ‘কোনানড্রাম’ থেকে অনুপ্রাণিত। কথিত, ১৯৭০ সাল নাগাদ উত্তর প্রদেশে আবির্ভাব ঘটে গুমনামি বাবার। একাংশের মতে, এই বাবাই আসলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। তাঁর সঙ্গে নেতাজীর আদলের নাকি মিল পাওয়া গিয়েছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজের কিছু চিঠিপত্রও তাঁর কাছে ছিল বলে মত।
ছবির টিজার নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি এবং এখনও বেঁচে আছে। এই কথা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। এখনও সেই চর্চা অব্যাহত। তাঁর মৃত্যু আজও রহস্য। ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় যে অনুভূতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি আশা করব ছবিটা দেখার পর দর্শকেরও সেই একই উত্তেজনা হবে।”
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট শেষবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে। একটি বিমানে চড়ছিলেন তিনি। ইতিহাস বলে, ভেঙে পড়েছিল সেই বিমান, অথচ বিমানের ধ্বংসাবশেষ অথবা নেতাজীর দেহ উদ্ধার হয় নি কখনও। তার পর থেকে বহু মানুষ বহুবার দাবি করেছেন, বেঁচে আছেন নেতাজী। কিন্তু কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেন নি। পাশাপাশি, তাঁর মৃত্যুর প্রমাণও পাওয়া যায় নি আজ পর্যন্ত।
এবারের পূজায় মুক্তি পাচ্ছে গুমনামি। ছবিতে প্রসেনজিৎ ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী। কাকাবাবু নয় এবার নেতাজি, দর্শক কতটা গ্রহণ করেন টলিউডের ইন্ডাস্ট্রিকে এখন সেটাই দেখার।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ








