উপলক্ষ রমজান
টিসিবির তেলের ক্যান ফাটা, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায়
নড়াইল: পবিত্র রমজান উপলক্ষে জেলায় ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া পাঁচ লিটারের তেলের ক্যান ফাটা পাওয়া গেছে। তেলের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ রয়েছে আর মাত্র দুমাস। মসুর ডালও দেওয়া হয়েছে ছেঁড়া বস্তায়। এ অভিযোগ করেছেন জেলার টিসিবির ডিলার শেখ শামসুজ্জামান খোকন।
মেসার্স শেখ প্রান্তর এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী খোকন নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “রমজান উপলক্ষে প্রথম চালানে শুধু পাঁচ লিটার ফ্রেস সয়াবিন তেল তুললেও অনেক তেলের ক্যান ফাটা। তাতে ময়লাযুক্ত তেল এবং ইঁদুরের বিষ্ঠার গন্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “তেল আনার পর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো সমাধান হয়নি। আশঙ্কা করা যাচ্ছে, ১৩শ’ লিটারের মধ্যে আনুমানিক একশ’ লিটার তেল কম পড়তে পারে। মসুরের গুণগতমান ভালো হলেও ছেঁড়া-ফাটা বস্তায় দেওয়ার জন্য পরিমাণেও কম এসেছে।”
সরেজমিনে পাঁচ লিটারের ফ্রেস সয়াবিন তেলের ছয়-সাতটি ফাটা ক্যান দেখা গেছে। এগুলো থেকে তেল পড়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে তেল নেই। সামান্য থাকলেও তাতে ময়লা। ক্যানের গায়ে কালো মোটা ময়লা দাগ পড়ে গেছে। পাঁচ লিটার ফ্রেস তেলের ক্যানে উৎপাদনের তারিখ লেখা রয়েছে ২০ আগস্ট ২০১৩। বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে এ তেল ব্যবহার করা যাবে।
তেলের মেয়াদের ব্যাপারে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনার অফিস প্রধান উপ-উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী রবিউল মোর্শেদ নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “এ তেল রমজানের জন্য আনা। এখনও দুই মাসের মেয়াদ রয়েছে। আমরা আশা করছি রোজার পর এ তেল আর কেউ ব্যবহার করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এসব মালামাল ডিলারের দেখে নেয়া উচিত ছিল। এ জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।”
জেলা মার্কেটিং অফিসার শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “জেলায় ১৮ ডিলারের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র একজন টিসিবির পণ্য তুলেছে। রমজান উপলক্ষে সম্প্রতি এক মিটিংয়ে সব ডিলারদের টিসিবি পণ্য তুলতে বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু ডিলাররা জানিয়েছেন, বাজার রেট এবং টিসিবি রেট প্রায় একই হওয়ায় তারা পণ্য তুলতে আগ্রহী নয়।”
বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা এ কর্মকর্তা আরও বলেন, “তেলের ক্যানে ময়লা, পরিমাণে কম বা কোনো সমস্যা রয়েছে কীনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসআইবি/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








