News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
আপডেট: ০৯:৫২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইটিআইএনধারীদের রিটার্ন দা‌খি‌লে বাধ্য করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

ইটিআইএনধারীদের রিটার্ন দা‌খি‌লে বাধ্য করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

কর দেওয়ার যোগ্য ইটিআইএনধারী সবাইকে আয়করসহ রিটার্ন দা‌খি‌লে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। 

রোববার জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ এই স্লোগানে এবারেও এনবিআর ১০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস’ ও ১০-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৪৬ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ইটিআইএনধারী র‌য়ে‌ছে। তা‌দের ম‌ধ্যে রিটার্ন দা‌খিল ক‌রে‌ছে ২২ লাখ। এর মধ্যে নতুন বেড়েছে দুই লাখ। যারা এখ‌নও রিটার্ন দা‌খিল ক‌রেন‌নি, তা‌দের করা‌ঞ্চ‌লের কর্মকর্তারা ফোন কর‌বে। আগামী জানুয়া‌রি থে‌কে রিটার্ন দা‌খিল না করা প্রত্যেক ইটিআইএনধারী‌কে ফোন দে‌বে। ত‌া‌দের রিটার্ন দা‌খিল কর‌তে বল‌বে। আর যারা আয়কর দেওয়ার যোগ্য তা‌দের করসহ রিটার্ন দা‌খি‌লে বাধ্য করা হবে।

আরও বলেন, পহেলা জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন স্তরে যেমন ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এত কিছু করার পরও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব না আসা দুঃখজনক। এখন থেকে যেসব ইটিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখব।

এতদিন ব্যবসায়ীদের প্রতি এনবিআর নমনীয় ছিল মন্তব্যে করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখন থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। তবে কঠোর হওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) সম্পর্কে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ইএফডি মেশিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কারণ এই মেশিন আমদানি করতে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সময় লাগলেও ঘোষিত সব পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব।

আরও বলেন, রাজস্ব সংগ্রহে তথ্য তুলে ধরে চেয়ারম্যান জানান, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং আয়কর প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/পিআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়