News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ২৩ আগস্ট ২০২৫

নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ: আইনশৃঙ্খলা, পেশীশক্তি ও এআই

নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ: আইনশৃঙ্খলা, পেশীশক্তি ও এআই

ফাইল ছবি

বহু আলোচনা ও সংলাপের পর অবশেষে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। তবে এই প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ থাকলেও এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ড. ইউনূসের সরকার। 

নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং পেশীশক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ন্ত্রণ করা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিঃসন্দেহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। 

তিনি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কঠোর নজরদারি এবং একটি সমন্বিত নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে ‘রিস্ক ম্যাপিং’ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ আচরণ অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি পেশীশক্তি, হুন্ডা-গুন্ডা বা মনোনয়ন বাণিজ্যের আশ্রয় নেয়, তাহলে তা অবাধ নির্বাচনের পথে বড় বাধা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ভিডিওর মাধ্যমে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে: সিইসি

ড. আব্দুল আলীম এই প্রবণতাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। 

তিনি বলেন, এআই-জেনারেটেড ভিডিও এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহৃত ভাষা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের কার্যকলাপ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

বিশ্লেষকরা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও স্বচ্ছ রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:

সমন্বিত নিরাপত্তা সেল: একটি সমন্বিত ‘জাতীয় নির্বাচন নিরাপত্তা সমন্বয় সেল’ গঠন করা, যা সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সহনশীল আচরণ: ড. আব্দুল আলীম সব পক্ষকে সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বড় দলগুলোর উচিত ছোট দল ও প্রার্থীদের প্রতিও সমানভাবে সম্মান ও বিবেচনা দেখানো।

গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকের সুযোগ: নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের সুযোগ সংকুচিত না করে বরং যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখা উচিত।

সর্বোপরি, নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়