সাবেক গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পরিবারের সদস্যদের হিসাব তলব
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নর ও তাদের স্ত্রী–সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর হিসাব তলব করা হয়েছে।
যাদের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। এর মধ্যে ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদেও। এ ছাড়া আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লোপাটের সুযোগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সাবেক যেসব ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা হলেন সরকার পতনের পর দুদকের মামলায় কারাগারে থাকা এস কে সুর চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এর মধ্যে এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী–ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা ও আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আছে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ: ইসি সচিব
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান ও সরকার পতনের পর বিএফআইইউর প্রধান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মো. মাসুদ বিশ্বাসের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে দুদকের মামলায় এস কে সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস কারাগারে। সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। কোনো হিসাব বন্ধ থাকলে, সেই তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে অর্থ লোপাটে সহায়তার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে।
এমন নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুরোধে গতকাল বুধবার ব্যাংকগুলোকে হিসাব তলবসংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পর এখন আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








