মনিরামপুরের ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
খুলনা: যশোরে প্রভাষক সঞ্জয় হালদার হত্যা মামলায় মনিরামপুরের মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ রাতে উপজেলার কুমরঘাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় হালদার গুরুতর আহত হন। পরে যশোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জমি-জমা বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা সঞ্জয়কে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ করে ঘটনার পরদিন স্থানীয় মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী বেহুলা হালদার।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ওসি এসএম আলী আজম সিদ্দিকী ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের আদালত থেকে মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এই সাত আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টার (৩৫), রোজিপুর গ্রামের ভোলানাথ হালদারের ছেলে প্রসেন হালদার (৪২), মহেন হালদার (৪০) ও হিরামন হালদার (২৮), একই উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের সরোয়ার সরদারের ছেলে আনিচুর রহমান (৩৫), মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) এবং রোজিপুর গ্রামের বিকাশ হালদারের ছেলে বিধান হালদার (৪০)।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








