রুবেল হত্যাকাণ্ড: এসি আকরামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ঢাকা: গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আকরাম হোসেনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই আদেশের অনুলিপি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আকরামকে।
রোববার হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার আকরামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ।
অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘রুবেল হত্যা মামলায় হাই কোর্ট আকরামসহ ১৩ জনকে খালাস দিয়েছিল। এর মধ্যে আকরামের ক্ষেত্রে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আপিলের ওপর শুনানি হবে।’
২০১১ সালের ১১মে হাই কোর্টের ওই রায়ে আকরামসহ যে ১৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনকে বিচারিক আদালত যাবজ্জীবন ও একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া হাই কোর্টে মামলার আরেক আসামি উপপরিদর্শক হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল থাকে।ওই রায়ের পর ২০১২ সালে আকরামের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল ৫৪ ধারায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শাহীন রেজা রুবেলকে আটক করে। পরে ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় করা মামলার রায়ে ২০০২ সালের ১৭ জুন ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মুকুলি বেগম নামের এক আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন আসামিরা। নয় বছর পর খালাসের রায় পেয়ে ২০১১ সালের ৯ মে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তার সঙ্গে খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম, এসআই আমীর আহমেদ তারেক, নুরুল আলম, এএসআই আবদুল করিম, হাবিলদার নুরুজ্জামান, কনস্টেবল রাতুল পারভেজ, মীর ফারুক, মংশেওয়েন, আবুল কালাম আজাদ, কামরুল হাসান, জাকির হোসেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








