গাজার জলসীমায় দেখা মিললো সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের অন্তত একটি জাহাজ ইতোমধ্যে গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে ফ্লোটিলার ‘লাইভ ট্র্যাকারের’ তথ্য অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের জাহাজটি বর্তমানে গাজার জলসীমার ভেতরে অবস্থান করছে। 

তবে সেটি ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আটক হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানিয়েছেন, গাজার দিকে যাত্রা করা নৌবহরের ২৪টি জাহাজ এখনো অগ্রসরমান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে বুধবার রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার ১৩টি জাহাজ আটক করে এবং সেগুলোর দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে হেফাজতে নেয়।

আটক হওয়া ১৩টি জাহাজে মোট ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন আবুকেশেক। তাদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বাধা পেরিয়ে গাজার পথে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটককৃতদের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং তারা ‘নিরাপদ ও সুস্থ’ রয়েছেন।

৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে গঠিত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা একটি আন্তর্জাতিক মানবিক উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য গাজার ওপর চলমান ইসরায়েলি নৌ-অবরোধ ভেঙে সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এই নৌবহরে রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা অন্তর্ভুক্ত।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজার দিকে যাত্রা করা নৌযানগুলোর মধ্যে অন্তত একটি জলসীমায় প্রবেশ করেছে এবং আরও দুই ডজনের বেশি নৌকা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর হস্তক্ষেপের আশঙ্কা এখনো বিদ্যমান।

সূত্র: আল-জাজিরা