News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:১১, ১৫ আগস্ট ২০২৫

পাকিস্তানে বন্যায় ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৫

পাকিস্তানে বন্যায় ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ত্রাণবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। 

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রাদেশিক সরকার শনিবার (১৬ আগস্ট) শোক দিবস ঘোষণা করেছে।

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর জানান, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাজাউর জেলায় ত্রাণ সরবরাহের সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মোহমান্দ জেলার পান্ডিয়ালি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এটি ছিল প্রাদেশিক সরকারের একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। এতে দুই পাইলট ছাড়াও তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

এদিকে, প্রদেশজুড়ে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ জনে। 

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (পিডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী এবং ১২ জন শিশু। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বুনার, যেখানে অন্তত ৯১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়াও গিলগিট-বালতিস্তানে পাঁচজন এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ২৭

জুনের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ঘনবসতিপূর্ণ ও দুর্বল অবকাঠামোর এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

পিডিএমএ-র তথ্যমতে, প্রদেশজুড়ে ৪৪টি বাড়ি এবং তিনটি স্কুল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩৭টি বাড়ি। শুধু সোয়াত জেলাতেই ২৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রাদেশিক সরকার ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত জেলার জন্য ৫০ কোটি টাকার ত্রাণ তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বুনার জেলার জন্য ১৫ কোটি টাকা, বাজাউর, বটগ্রাম ও মানসেহরার জন্য ১০ কোটি টাকা করে এবং সোয়াতের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর জানিয়েছেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

পিডিএমএ সতর্ক করেছে যে, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

একইসাথে, এনডিএমএ শুক্রবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও এক দফা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়