পার্হেন্তিয়ানে অভিযানে বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ১০ অবৈধ অভিবাসী

ফাইল ছবি
মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র তেরেঙ্গানুর পার্হেন্তিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সমন্বিত অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১০ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
অভিযানে সহযোগিতা করেছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এমকেএন), রাজ্য মেরিন পার্ক অফিস ও মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ)।
২৯ সেপ্টেম্বর পুত্রাজায়ার গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। পুরো অভিযানে দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ৯টি স্থাপনা তল্লাশি করা হয় এবং মোট ৯৯ জনের পরিচয় ও কাগজপত্র যাচাই করা হয়।
তদন্ত শেষে দেখা যায়, এদের মধ্যে ১০ জনের ভিসা, বৈধ অনুমতি ও অভিবাসন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি নেই। তাদের সবাইকে আটক করে ইমিগ্রেশন আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি, ৪ জন পাকিস্তানি ও একজন মিয়ানমারের নাগরিক।
এছাড়া স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে অভিযানে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে এসব বিদেশিদের সহায়তা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে ২০ তলা ভবনের আংশিক ধস
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা শুধু আইন লঙ্ঘনই করছেন না, পাশাপাশি নিরাপত্তা ও পর্যটন খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। তাই এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অভিযান-পরবর্তী বিবৃতিতে বিভাগটির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা আমাদের পর্যটন অঞ্চলগুলোকে অবৈধ অভিবাসন, অপরাধী চক্র ও সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর। এই কারণে পার্হেন্তিয়ানের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত এক বছর ধরে মালয়েশিয়া জুড়ে অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। শুধু চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে কয়েক হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পার্হেন্তিয়ান দ্বীপপুঞ্জে প্রায়শই অবৈধ অভিবাসীরা অননুমোদিতভাবে কাজের সন্ধানে আসে। এতে করে একদিকে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে স্থানীয় শ্রমবাজারেও চাপ সৃষ্টি হয়।
অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সবাইকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে বলে ইমিগ্রেশন বিভাগ নিশ্চিত করেছে। প্রমাণিত হলে তাদের প্রত্যাবাসন বা কারাদণ্ড—দুই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি