এবার ১৪ ভাষার পাঠ্যপুস্তকে গায়ক জুবিন গার্গের জীবনী

জুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ আসামের ‘জনতার তারকা’ ছিলেন—তার মৃত্যুর পর সেটি আরও একবার প্রমাণিত হলো। সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
জুবিন গার্গের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জীবনী আসামের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আসাম বিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ। কাহিলিপাড়ায় তার বাসভবনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়া টুডে (নর্থ)-এর খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক ভারতীয় ভাষা (এমআইএল) পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের ১৪টি প্রধান ভাষায় জুবিন গার্গের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তার জীবন, শিল্পীসত্তা এবং মানবিক দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
এদিকে, গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ও জুবিন গার্গকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস অ্যান্ড কালচার-এর নাম পরিবর্তন করে তার নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে জুবিন গার্গের একটি মূর্তি স্থাপন করা হবে এবং তার সংগীত জীবন ও অর্জন নিয়ে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে ‘জুবিনের গান’ নামে নতুন একটি বিভাগ চালু হবে, যা নতুন প্রতিভাবানদের উৎসাহিত করবে এবং জুবিনের শিল্পসত্তাকে এগিয়ে নেবে।
আরও পড়ুন: নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিলেন থালাপতি বিজয়
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম নেওয়া জুবিন গার্গ ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে যুব মহোৎসবে পাশ্চাত্য একক সংগীতে স্বর্ণপদক জয়ের পর তার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরে যায়। একই বছর অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ প্রকাশের মাধ্যমে পেশাদার সংগীতে অভিষেক হয় তার।
২০০৬ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় গাওয়া ‘ইয়া আলি’ গান তাকে সারা দেশে পরিচিতি এনে দেয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিলেও তিনি মূলত আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি