চলে গেলেন হলিউড কিংবদন্তি রবার্ট রেডফোর্ড

ছবি: ইন্টারনেট
নির্মাতা-অভিনেতা তৈরির কারিগর, আর সবশেষে পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী–এক জীবনে এই সবগুলো খাতে ‘আঁচড় কেটে যাওয়া’ রবার্ট রেডফোর্ডের জীবনাবসান হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের সানড্যান্সে নিজের বাড়িতে মঙ্গলবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
তার পাবলিসিস্ট সিন্ডি বার্জার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রাবার্ট তার “প্রিয় জায়গা থেকেই বিদায় নিয়েছেন, তার প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে।”
সত্তরের দশকের শুরুতে এক-দুটি অভিনয়ের কাজ করেছেন। ব্রডওয়েতেও চেষ্টা করেছিলেন। এরপর দুম করে যেন রূপালি পর্দা ধরা দিল তার সামনে। ১৯৬৭ সালে জেন ফন্ডার সঙ্গে তার প্রথম সিনেমা ‘বেয়ারফুট ইন দ্য পার্ক’।
ওই সিনেমায় তাকে লোকে খানিকটা চিনল বটে, ধাক্কাটা এল বছর দুই পরে। ফেরারী আসামিকেও আইডল মনে করতে পারে মানুষ! জবাব মিলল জর্জ রয় হিলের–‘বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড’ সিনেমায়।
এই সিনেমা প্রভাব রেখেছে তার পরবর্তী জীবনে। উইটাহ অঙ্গরাজ্যের সানড্যান্সেই থাকতে চেয়েছেন তিনি, সেখান খামার করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির
হলিউডে রবার্ট নামধারী দুই কিংবদন্তী অভিনেতা তাদের জীবনের শেষভাগে এসে চলচ্চিত্র আন্দোলনে সাংগঠনিকভাবে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। একজন রবার্ট ডি নিরো তার ট্রাইবেকা ফেস্টিভালের মাধ্যমে। অপরজন এই রেডফোর্ড। তিনি গড়ে তুলেছিলেন সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভাল।
১৯৭৮ সালের প্রথম আয়োজনে এই সানড্যান্সেই দর্শক প্রথম দেখেছেন ডেলিভারেন্স, এ স্ট্রিটকার নেইমড ডিজায়ার, মিডনাইট কাউবয় আর মিন স্ট্রিটসের মত সিনেমা। সানড্যান্স পরে মনোযোগের তালিকায় যোগ করে নেয় ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম বা মুক্ত চলচ্চিত্র আর প্রমাণ্যচিত্রকে। বিশেষ করে যেসব চলচ্চিত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য আর অধিকার, এলজিবিটিকিউ আর জলবায়ুর মত বিষয় উঠে এসেছে।
প্রায় ছয় দশকের ক্যারিয়ারে অর্ধশতক সিনেমায় অভিনয়, গোটা দশেক পরিচালনা, ১৫-১৬টি সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক আর পরিবেশবিষয়ক অনেকগুলো প্রামাণ্যচিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর বিপরীতে দুটি অস্কার, যার মধ্যে একটি সম্মানসূচক, পাঁচটি গোল্ডেন গ্লোব, একটি সিসিল বি ডেমিল, স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড, কেনেডি সেন্টার অনার আর প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি