News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১৮ আগস্ট ২০২৫

২য় শ্রেণির ছাত্রকে বেধরক পেটানোর পর ‘চাঁদাবাজ’ দাবি শিক্ষকের

২য় শ্রেণির ছাত্রকে বেধরক পেটানোর পর ‘চাঁদাবাজ’ দাবি শিক্ষকের

ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধরক পেটানোর পর তার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রকে স্কুলে মারধরের পর তার মা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক এমন অভিযোগ করেন। আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মাসহ বিদ্যালয়ের ২৫ জন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৮ আগস্ট) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তাছিন তালহাকে পাঠদানের সময় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পেটান। এ সময় ছাত্রটির পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে পিটি প্যারেড, জাতীয় সংগীত ও শপথ চলাকালে লাইন বাঁকা হওয়াই আবারও তালহাসহ আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হাতে কঞ্চি দিয়ে মারেন ওই প্রধান শিক্ষক।

বিষয়টি সে বাড়িতে এসে মাকে জানালে তার মা মারধরের কারণ জানতে স্কুলের ওই শিক্ষকের কাছে যান। প্রথমে ওই অভিভাবকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষক। পরে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তাকে ও তার ছেলেকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করেন ওই শিক্ষক। এতেই ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

শিশুটির মা তাসলিমা আকতার শাপলা বলেন, ‘আমার ছেলে ওই দিন দুপুরে বাড়িতে এসে কান্না করতে করতে আমাকে মারধরের বিষয়টি জানায়। পরে আমি ওই শিক্ষকের কাছে মারধরের কারণ জানতে গেলে তিনি আমাকে বলেন, আপনার ছেলে আমার কাছে এক মাস আগে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে। অন্যদিকে ছেলে লেখা খারাপ করেছে বলে, আমাকে ও আমার ছেলেকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ছাত্র কীভাবে চাঁদা চাইতে পারে? আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

আরও পড়ুন: ছাত্র অধিকারের প্যানেল ঘোষণা: ভিপি পদে ইয়ামিন-জিএস সাবিনা

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাস খানেক আগে ওই ছাত্র আমার কাছে এসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেছিল। আর সেদিন ক্লাসে হট্টোগোল করায় ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করতে মেরেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।’

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, ‘দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রটির মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়